কালার কোড দিয়ে যেকোনো রেজিস্টর (Resistor) এর মান বের করুন খুব সহজেই
কালার কোড দিয়ে রেজিস্টর এর মান নির্নয় করুন খুব সহজেই।
আমি নওশাদ হোসেন রাহাত আপনাদের আজকে দেখাবো যে কিভাবে আপনারা কালার কোড ব্যাবহার করে যেকোনো রেজিস্টরের (Resistor) মান নির্ণয় করতে পারবেন।এবার থেকে আপনাকে আর অন্য কারো কাছে জিজ্ঞাসা করতেই হবেনা যে ভাই এই রেজিস্টর এর মান কতো।এবার আপনি নিজেই যেকোনো রেজিস্টর এর কালার কোড দেখলেই বলে দিতে পারবেন যে এই রেজিস্টরের মান কতো।
Resistor/রেজিস্টরঃ
এই নামটির সাথে আমরা সবাই-ই কম বেশি পরিচিত।যদিও এর ব্যবহার সম্পর্কে আমরা অনেকেই খুব কমই জানি।Google থেকে আপনাদের জন্য রেজিস্টর(Resistor) এর একটা ছবি দিলাম।
এবার নিশ্চয় জিনিসটা আসলে কি এটা বুঝতে আর বাকি নেই।বিশ্বে আজ অবদি যতো ইলেক্ট্রনিকস যন্ত্র তৈরী হয়েছে তার সবগুলোতে কম বেশি রেজিস্টর থাকবেই।কারন এটা ছারা কোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্রই চলতে সক্ষম নয়।এটি মুলত প্রত্যেক বৈদ্যুতিক যন্ত্রেই রোধক হিসেবে কাজ করে।অর্থাদ যন্ত্রের মধ্যে বিদ্যুৎ প্রবাহকে বাধা প্রধান করে।যাতে উক্ত যন্ত্রের যেই অংশে ঠিক যেই পরিমান বিদ্যুৎ প্রবাহ দরকার সেখানে ঠিক সেই পরিমান বিদ্যুৎ ই যেনো পায়।কারণ এর কম হলে যন্ত্রটি চলতে পারবেনা আর বেশি হলে যন্ত্রটি নষ্ট/বিকল হয়ে যাবে।সুতরাং বুঝতেই পারছেন যে রেজিস্টর (Resistor) একটা ইলেকট্রনিকসের জন্য কতোটা গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করে।কিন্তু একটা কথা মাথায় রাখবেন যে সব যন্ত্রের যেমন কাজ এক নয় তেমন সব যন্ত্রে বিদ্যুৎ এর প্রয়োজনীয়তাও কিন্তু এক নয়।সুতরাং প্রত্যেক যন্ত্রের বিদ্যুৎ প্রবাহের প্রয়োজনীয়তা যেমন আলাদা আলাদা ঠিক তেমনই তাদের জন্য নিশ্চয়ই আলাদা আলাদা মানের রেজিস্টরও ব্যবহার করতেই হবে।

উৎসঃ flameretardants-online.com
কারণ তা না হলে বেশি ভোল্টেজ পাবার কারনে আপনার ইলেকট্রনিকসটাও যে উপরের ছবিটার মতো জ্বলে যাবেনা তার কি গ্যারান্টি?😁😁😁
আর এই জন্যই আমাদের নির্দিষ্ট কাজে নির্দিষ্ট মানের Resistor ব্যবহার করতে হবে।
যাই হোক আমরা অনেকি এটা ব্যবহার করি।কিন্তু এর মান কতো বা এটা কিভাবে বের করতে হয় এই সম্পর্কে অবগত নই।
তাই নিচে Resiator এর Colour Code এর একটা ছবি Google থেকে দিলাম।
========================

মান বের করার নিয়ম/ধাপসমূহ
১ম কালারের মান লিখবো২য় কালারের মান লিখবো৩য় কালারের মান যতো হবে ততগুলো শুন্য দেবো।তবে যেসব রেজিস্টরের গায়ে ৫ বা ৬ টা রং থাকবে সেক্ষেত্রে আপনাকে ১ম,২য়,৩য় এই তিনটি রংয়ের জন্যই শুধু কালার কোডের মান টা বসাবেন এবং পরবর্তী ৪র্থ রংটির মানের জন্যে ততোটা শুন্য বসাবেন।৪র্থ কালার সাধারনত সোনালী বা রূপালি হয়।আর এর দ্বারা রেজস্টরের টলারেন্স নির্দেশ করে।টলারেন্স কি?
টলারেন্স রেজিস্টরের মানে ভারসাম্য রক্ষা করে।অর্থাদ কোনো রেজিস্টরেরই মান একেবারে কাটায় কাটায় সঠিক হয়না।একটু কম বা বেশি হয় থাকে।তা এই কম/বেশি টা কতো তার একটা শতকরা হারে মান দেয়া থাকে।
যেমনঃ +- ৫% বা +-১০% বা +-৩% মুলত মান গুলো এরকমের হয়ে থাকে।
এবার একটা উদাহরণ দিয়ে একটা রেজস্টরের মান বের করে দেখি
ধরুন কোনো রেজস্টরের গায়ে যথাক্রমে লাল,বেগুনী,সবুজ ও সোনালী রং দেয়া আছে।
এবার,
১। লাল এর জন্য মান লেখি - ২
২। বেগুনী এর জন্যে মান লেখি - ৭
৩। সবুজ এর জন্যে মান লেখি - ৫ টা শুন্য(সবুজ রং এর মান ৫ এর জন্য)
৪। সোনালী রং এর টলারেন্স মান (+-৫%)
সুতরাং মান দাড়ায় = ২৭০০০০০ ওহম
এবার এই মান কে ১০০০ দ্বারা ভাগ করলে মান দাড়ায় ২৭০০ কিলো ওহম বা ২৭০০ k
আর টলারেন্স +-৫%।অর্থাৎ এই রেজিস্টরের মান ২৭০০ কিলো ওহমের থেকে ৫ শতাংশ কম বা বেশি হতে পারে।
আশা করি বুঝাতে পেরেছি যে কিভাবে আপনি কালার কোড ব্যবহার করে কোনো রেজিস্টরের মান নির্ণয় করবেন।😊😊
পোস্টটি ভালো লাগলে দয়া করে শেয়ার করবেন।এবং আরো কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন।😊😊
============================
NOTE
--------
The photos are downloaded from Google except the Thumbnail of the post.
--------
ধন্যবাদ!
আপনি আমার এই পোস্টগুলো পড়ে দেখতে পারেন।পড়ার জন্য নিচের লিংক ক্লক করুন।
==========================